গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামানের শপথ গ্রহণের ওপর ২ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মামুন মাহবুব,মো. কাওসার হোসাইন ও কামরুল ইসলাম। অপরদিকে,রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে,গাইবান্ধার জেলা পরিষদ নির্বাচনে পলাশবাড়ী উপজেলার চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদের নির্বাচনে হাতী মার্কা নিয়ে মোঃ মনিরুজ্জামান ফুল মিয়া, টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে মো. তৌহিদুল আমিন মন্ডল (সুমন) ও তালা মার্কা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ভোট বাবু  প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান শেষে রিটার্নি অফিসার কর্তৃক ভোটের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত তালিকা প্রার্থীদের দেয়া হয়। এতে দেখা যায়,সর্বমোট ১'চ ২০ ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১'শ ১৯ জন। তৌহিদুল আমিন মন্ডল পেয়েছেন ৫৬ ভোট, মনিরুজ্জামান ৫৫ ভোট, জাহাঙ্গীর আলম ৬ ভোট এবং ২টি ভোট বাতিল দেখানো হয়। তবে পরবর্তী সময়ে আরেকটি শিটের (তালিকা) মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার জানান,ওই নির্বাচনে তৌহিদুল আমিন মন্ডল  ৫৬ ভোট এবং মনিরুজ্জামানও ৫৬ ভোট পেয়েছেন।পরে নির্বাচন কমিশনের জেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুসারে,সমান সমান ভোট পাওয়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে লটারী অনুষ্ঠিত হয় এবং মনিরুজ্জামানকে বিজয়ী দেখানো হয়। পরে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়। তবে সেই গেজেটের বিরুদ্ধে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন জানানো হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর শপথগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।তবে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বিধায় এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তৌহিদুল আমিন মন্ডল। রিটে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামানের শপথ গ্রহণ স্থগিত এবং পুরো ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ